Sangbad Bangla 24

সংবাদ বাংলা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এ দাবি জানান। শিক্ষকরা বলছেন, গত বছরের মাঝামাঝি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে কর্মরত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ রাখা হয়নি। এমপিও বঞ্চিত হয়েছেন ২০৩টি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে কর্মরত সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক। মাদ্রাসা জনবল কাঠামোতে মাস্টার্স সমতুল্য কামিল পর্যায় পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের কোন কোন কলেজে নাম মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। সেটাও অনেক কলেজ প্রতিমাসে দেয় না।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মেহেরাব আলীর সঞ্চালনায় সংগঠনের আহবায়ক নেকবর হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. সাদেকুর রহমান, কামরুল হাসান লিপু, মো. আলাউদ্দিন, হারুন অর রশীদ, মো. মোস্তফা কামাল, মো. আলাউদ্দিন, মোখলেসুর রহমান মনি, মাসুম বিল্লাহ, নূরুল আবছার শিকদার, রুহুল আমিন, দুলাল চন্দ্র কর্মকার, সুকোমল সেন, ইমদাদুল জোয়ার্দ্দার, শফিকুর রহমান, আবু সাইদ, আসাদুল, তরিকুল,সুলতান, সাইফুল, মাসুম বিল্লাহ,আ:খালেখ, রফিকুল, গাজী নজরুল, আরাফাত, ফারুক হোসেন, আ:কাদের, নাজমুল, বিপ্লব, অপু, পলাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক নেকবর হোসাইন জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৮৫৭ টি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদান করা হচ্ছে। যার মধ্যে সরকারি কলেজ ২৯৯টি এবং উপজেলা পর্যায়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজ ৩০২ টি। অবশিষ্ঠ বেসরকারি কলেজে রয়েছে মাত্র ২৫৬ টি। এই ২৫৬ টি বেসরকারি কলেজে প্রায় ৮ লাখ ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়ন করছে। তারা বলেন, সাড়ে তিন হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে বছরে ১০৪ কোটি টাকা প্রয়োজন। খরচের খাত খুজে না পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সরকারী কলেজে একজন ছাত্রের মাসিক বেতন মাত্র ২৫ টাকা। আর বেসরকারি কলেজে ৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। জেলা-উপজেলা শহরের কলেজ গুলোতে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। বেসরকারি কলেজে অতিরিক্ত শিক্ষা ব্যয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ না করেই উচ্চশিক্ষা থেকে অনেক শিক্ষার্থী থেকে ঝরে পড়ে।