অবশেষে জামিন মিলল বলিউড ভাইজানের
সংবাদ বাংলা: অবশেষে জামিন পেলেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান। তিনি গতকাল শুক্রবার জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। অবশেষে আজ শনিবার জামিনে ছাড়া পাচ্ছেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। দুদিন কারাভোগের পর আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ অভিনেতার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন যোধপুর আদালত। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় যোধপুর আদালতে সালমানের জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। তখন আদালত প্রথমে জামিনের রায় দুপুর আড়াইটায় দেওয়ার কথা বলেন। পড়ে তা আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দুপুর সাড়ে ৩টা করা হয়। জামিন পেলেন সালমান খানরায়ের সময় আদালতে সালমানের আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন তার দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা খান শর্মা। তাদের আদালতে নিয়ে আসেন সালমানের দেহরক্ষী শেরা।
এদিকে এতদিন জেলে যাওয়ার অভিনয় করে এলেও সত্যিকারের জেল জীবন যে কতটা কঠিন, তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন বলিউড তারকা সালমান খান। ভারতের এই সময়ের ‘সুপারহিট হিরো’ কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে তিন দিন ধরে রাজস্থানের যোধপুর কারাগারে রয়েছেন। বাইরে তিনি যত বড় তারকাই হন না কেন, কারাগারে তার পরিচয় এখন একটিই- কয়েদী নম্বর ১০৬।
আদালতের রায়ে বন্দি হওয়ার পর কারাগারের খাবার না খেলেও ৫২ বছরেও হিট সিনেমা উপহার দিয়ে যাওয়া এই অভিনেতা শরীরচর্চায় ক্ষান্ত দেননি বলে কারা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে। রাজস্থানের আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সালমান খানকে। সেদিন সন্ধ্যার পরই তিনি ঘণ্টা খানেক শরীর চর্চা করেন বলে কারাধ্যক্ষ বিক্রম সিং জানিয়েছেন। রাতে জেলের খাবার খাননি তিনি। ঘুমাচ্ছেন মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে।
বিক্রম সিং টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, চিকিৎসক ডাকব কি না, তা তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি বলেছেন যে প্রয়োজন নেই। “মাঝরাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলখানার সাইরেন বেজে উঠলে তার ঘুম ভাঙে। তবে এরপর আবার ঘুমিয়ে পড়েন তিনি, ওঠেন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে।” শুক্রবার সকালে উঠে বন্দিদের নাশতা করেননি সালমান। তিনি কারারক্ষীর কাছে জানতে চান, ক্যান্টিন থেকে তার জন্য খাবার আনা যাবে কি না? “এরপর তিনি দুধ ও রুটি আনতে বললে তা আনা হয় তার জন্য,” বলেন বিক্রম সিং। দুধ-রুটি খেয়ে শারীরিক কসরতে মন দেন এই অভিনেতা, সেলের ভেতরে হাঁটাহাঁটিও করেন তিনি। “সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে জানানো হয়, তার জামিনের আবেদনে শনিবার আদেশ হবে। তা শোনার পর দুপুরে খাননি তিনি,” বলেন বিক্রম সিং। এরপর বিকালে বোন আলভিরা ও অর্পিতা এবং অভিনেত্রী প্রীতি জিন্তা দেখা করেন সালমানের সঙ্গে। দুপুর থেকে অভুক্ত থাকার পর বিকাল থেকে সন্ধ্যা তিন ঘণ্টা ফের শরীর চর্চা শুরু করে কারারক্ষীদের তাক লাগিয়ে দেন তিনি। বিক্রম সিং বলেন, “তিনি সত্যিই টাফ ম্যান।” এরপর সালমান জানান, তিনি গোসল করতে চান; তার ব্যবস্থা করে দেয় কারারক্ষীরা। এক কারা কর্মকর্তা জানান, এরপর তাকে রাতের খাবার দেওয়া হয়। অন্য বন্দিরা যে পানি পান করেন, কারাগারে সালমান খানও একই পানি পান করছেন। কারাগারে অন্য বন্দি আসারাম বাপুর সঙ্গে সালমানের কথা বলার যে কথা রটেছে, তা নাকচ করেন কারাধ্যক্ষ বিক্রম সিং বলেন, সালমান খানের ওয়ার্ডে তিনি একাই রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে যোধপুরে কৃষ্ণ হরিণ হত্যা করেন বলে সালমান খানের নামের মামলা হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সেই মামলায় পাঁচ বছরের জেল হয় সালমানের। তাকে রাখা হয়েছিলো যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের ২ নম্বর ব্যারাকে। জেলে সালমান খানের সঙ্গী ছিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment