আমিন জুয়েলার্সে চুরির ২১৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার
সংবাদ বাংলা: রাজধানীর গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের আমিন জুয়েলার্সের একটি দোকান থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্য থেকে ২১৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৪) এপ্রিল থেকে রবিবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের আমিন জুয়েলার্সের ছাদ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তিন চোরের অবস্থান শনাক্ত করে ১৬ এপ্রিল সোমবার গুলশান থানা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফরিদগঞ্জ থানায় অবস্থান নেয়। তারা মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে পৌর এলাকার বড়ালী গ্রামের দিঘির পাড়ের বাড়ি থেকে আমিন জুয়েলার্সে চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্য থেকে ২১৭ ভরি সোনা ও নগদ ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা চালের ড্রাম থেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে ছিলো গলার নেকলেস, চুড়ি, গজ, কানের দুল, পেনটানা, টিকলি, নোলক ও রিং।
স্থানীয়রা জানায়, সাদ্দাম হোসেন পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালী ডাক্তার বাড়ির আমান উল্যাহর ছেলে। তিনি ঢাকার গুলশানে রড মিস্ত্রির কাজ করেন। গত রোববার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং তার নানার বাড়িতে অবস্থান নেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। নানার বাড়িতে বৃদ্ধ নানা-নানি থাকেন।
জানা যায়, গুলশান -২ এর ডিসিসি মার্কেটের ছাদ কেটে চুরি এবং চুরি শেষে ছাদ ঢালাই করে রাখে চোরের দল। চুরির ঘটনায় আমিন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয় আনুমানিক ৩০০ ভরি সোনা ও ২৪ লাখ টাকা খোয়া গেছে। গত পয়লা বৈশাখের পরদিন রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে মার্কেট দুইদিন বন্ধ ছিলো। সোমবার সকালে দোকান খুলে দেখা যায় দোকানের ছাদ কেটে সোনা ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে।
এদিকে পুলিশ চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রিপনের উপস্থিতিতে স্বর্ণগুলো পরিমাপ করে এবং জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে। বিষয়টি জেলা পরিষদ সদস্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত সাদ্দাম হোসেন (২২) পলাতক রয়েছেন। তবে সাদ্দামের পিতা আমান উল্যাহকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment