ইউএস-বাংলার নিহতদের পরিবার ৫০ হাজার ডলার করে পাবে
সংবাদ বাংলা: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের পরিবার কমপক্ষে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। উেল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
সচিবালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিহতদের পরিবারকে এই ক্ষতিপূরণ দেবে; আহতরাও ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। বিমানমন্ত্রী বলেন, ওয়ারসো কনভেনশন অনুযায়ী নিহতদের প্রতি পরিবার ইন্সুরেন্স কোম্পানি কাছ থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এজন্য তাদের কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ জানান, বিমান দুর্ঘটনায় আহত-নিহত সবার নাম-ঠিকানা তাদের কাছে আছে। তিনি বলেন, ইন্সুরেন্সের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সাকশেসন সার্টিফিকেট (উত্তরাধিকারীর প্রমাণপত্র) দিতে হবে। ইন্সুরেন্স কোম্পানি আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে, যিনি প্রত্যেকটা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। কি কি তথ্য লাগবে তা পরিবারগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসিফ জানান, বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজের ইন্সুরেন্সের লোকাল এজেন্ট সাধারণ বিমা এবং সেনা কল্যাণ ইন্সুরেন্স।
সেনা কল্যাণ ইন্সুরেন্স কোম্পানি পুনঃবীমা অংশের অর্ধেক সাধারণ বীমা করপোরশেন এবং বাকী অংশ পুনঃবীমা ব্রোকার কে এম দাস্তুর অ্যান্ড কোং এর মাধ্যমে বিদেশে পুনঃবীমা করেছে। সাধারণ বীমা করপোরেশনও কে এম দাস্তুর অ্যান্ড কোং এর মাধ্যমে বিদেশে পুনঃবীমা করেছে। ইউএস-বাংলার ধ্বংস হওয়া ওই বিমানটি বৈদেশিক নেতৃস্থানীয় পুনঃবীমাকারী লন্ডনভিত্তিক এক্সএল ক্যাটলিন ও অন্যান্য পুনঃবীমাকারীর সঙ্গে পুনঃবীমা করা আছে। আহত-নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত ইউএস-বাংলা এয়ারক্রাফটের ক্ষতিপূরণের অর্থ নেবে না জানিয়ে আসিফ বলেন, আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ বিতরণ করাই এখন আমাদের টপ প্রায়োরিটি। নিহত প্রত্যেক পরিবার ৫০ হাজার ডলারের কম পাবেন না। ক্ষতিপূরণ পেতে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই সময় লাগবে তা নায়, প্রক্রিয়া শেষ হলেই ইন্সুরেন্সের টাকা দেবে। এখানে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ম্যানিপুলেশন করার কিছু নেই। আহতদের কার কত দিন চিকিৎসা লেগেছে তার উপর ভিত্তি করে ক্ষতিপূরণের টাকার অঙ্গে হেরফের হবে বলেও জানান তিনি। নিহতদের পরিবার যাতে ঠিকমত ক্ষতিপূরণের অর্থ পায় সেজন্য সিভিল এভিয়েশনের আইনজীবীদের সহায়তা করতে নির্দেশ দেন বিমানমন্ত্রী। ওয়ারসো কনভেনশনে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে তা অনুসমর্থন করলেও এখনও মন্ট্রিল কনভেনশন অনুসমর্থন করেনি। শাহজাহান কামাল জানান, মন্ট্রিল কনভেনশনে অনুসমর্থন নিয়ে আগামী সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment