ই-চালানে দেওয়া যাবে সরকারি সেবার ফি
সংবাদ বাংলা: এখন থেকে পাসপোর্ট, পুলিশের ছাড়পত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে। এ জন্য ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রাথমিকভাবে সরকারি তিন সংস্থার সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা চালু করা হলো। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সেবার কার্যক্রমকে এর আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন একসেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই কর্মসূচির আওতায় ইলেকট্রনিক বা ই-চালান পদ্ধতি চালু করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করছে।
অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী জানান, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি সেবার ফি জমা দিতে গ্রাহককে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। এতে সেবা গ্রহীতার সময় নষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হন অনেকে। ইলেকট্রনিক চালান পদ্ধতি চালুর ফলে সেবা গ্রহীতারা ঘরে বসেই অনলাইনে তা জমা দিতে পারবেন। এতে সেবা পাওয়া সহজ হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, প্রচলিত ব্যবস্থায় ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুয়া চালান ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জমা দেওয়া চালানের অনেক অর্থ সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা হয় না। ফলে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের গলদ দেখা দেয়। বর্তমানে বছরে ২ কোটি চালান প্রচলিত ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে জমা হয়। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভুয়া চালান ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। ফলে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকি হয়। ইলেকট্রনিক চালান পদ্ধতিতে ফি আদায় হলে ফাঁকি কমবে এবং রাজস্ব আদায় বাড়বে।
বর্তমানে একজন ব্যক্তি পাসপোর্টের ফি জমা দিতে হলে সংশ্নিষ্ট ব্যাংকের শাখায় যান। রসিদ সংগ্রহ করে হাতে লিখে চালানের কপিসহ জমা দেন। ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা চালুর ফলে তাকে আর টাকা জমা দিতে ব্যাংকে না গেলেও চলবে। চালান ব্যবস্থায় অর্থ জমা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি ওয়েবসাইট খুলেছে। এটি হলো :যঃঃঢ়: বপযধষষধহ .মড়া.নফ। এই সাইটে ক্লিক করলে প্রয়োজনীয় তথ্য চলে আসবে। একইভাবে পাওয়া যাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র ফির সেবাও। অর্থসচিব আরও জানান, নতুন প্রবতির্ত ই-চালান ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রচলিত বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিও চালু আছে। ব্যাংক অ্যাকউন্টের মাধ্যমে ট্রান্সফারের মাধ্যমে চালানের টাকা জমা দেওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সরকারি সেবায় ইলেকট্রনিক চালান পদ্ধতি চালুর মধ্য দিয়ে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। ফলে সেবার মান উন্নতি হবে। জনগণ উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ই-চালান সিস্টেম হতে একজন নাগরিক তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন। এতে সরকার ও জনগণ উভয়ই উপকৃত হবে।
অনলাইনে চালানের টাকা পরিশোধ করার পদ্ধতি বলবেন কি?
কিভাবে কি করতে হবে