এবার শীর্ষে নর্থ সাউথ, দ্বিতীয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
সংবাদ বাংলা: দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে করা এক র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম হয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এবারের র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, পঞ্চম আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সপ্তম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অষ্টম ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নবম ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এবং দশম হয়েছে দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। এ বছরে নর্থ সাউথ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত স্কোরে পার্থক্য খুব কম। এই ইউনিভার্সিটিগুলো গত বছরের র্যাংকিংয়েও প্রথম দশের মধ্যেই ছিল।
দেশে ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে র্যাঙ্কিং নির্ণয়বিষয়ক গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে ৩৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। বাকিগুলো বিভিন্ন কারণে র্যাঙ্কিংয়ের আওতায় আনা হয়নি। বস্তুগত ও ধারণাগত (ফ্যাকচুয়াল ও পারসেপচুয়াল) স্কোরের সমন্বয়ে চূড়ান্ত র্যাঙ্কিং করা হয়। বস্তুগত স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের সংখ্যা এবং গবেষণায় খরচ ইত্যাদির ভিত্তিতে। আর ধারণাগত স্কোরগুলো নেওয়া হয়েছে একাডেমিক (ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার) ও চাকরিদাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সূচকে স্কোর দিয়েছে।
এ ছাড়া ১১ থেকে ২০তম হয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো এই ইউনিভার্সিটিগুলোকে একটি র্যাংকিংয়ের আওতায় আনা। ৬৫টি ইউনিভার্সিটিকে এই গবেষণার আওতাভুক্ত করা হয়নি। এরমধ্যে ৪১টি ইউনিভার্সিটিতে এখনও কোনও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি, ১২টি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রভর্তি-প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ৮টি ইউনিভার্সিটিতে এখনও শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হয়নি, ৩টি ইউনিভার্সিটি বিশেষায়িত ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত এবং একটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজারের নিচে থাকায় এসব ইউনিভার্সিটিকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৬টির মধ্যে র্যাংকিংয়ের গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
এতে বলা হয়েছে, গবেষণা ব্যয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তাদের বাৎসরিক গবেষণায় ব্যয় ৪৮.২৩ কোটি টাকা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ব্যয় করেছে ৭.৬৬ কোটি টাকা। এছাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৫.০৪ কোটি টাকা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যয় ৪.৩৪ কোটি টাকা। শীর্ষ পাঁচের পাঁচ নম্বরে থাকা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির গবেষণা ব্যয় ৩.৯৮ কোটি টাকা।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment