এ বছর আর স্কুল-কলেজ খুলছে না!
সংবাদ বাংলা: দেশে শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নতুন করে বাড়তে পারে। আলোচনা হচ্ছে সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আরেক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। আটকে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা আর চিরাচরিত নিয়মে হচ্ছে না। তার বদলে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড় করে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় অনুযায়ী এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। মহামারির এই নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প মূল্যায়নে যেতে হচ্ছে সরকারকে। এর আগে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। নভেম্বরে এসব পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সহসাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। চলতি বছর সব ক্লাসে অটো প্রমোশনে শিক্ষার্থীরা পরের শ্রেণিতে উঠবে। যেখানে এইচএসসির মতো বড় পাবলিক পরীক্ষা থেকে সরে এসেছে সেখানে শ্রেণিভিত্তিক উত্তীর্ণেও অটো প্রমোশন দেওয়া হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মহামারির প্রথম ধাক্কায় যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। জুলাই থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসছিল, কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের মতো শীতপ্রধান অনেক দেশেই ঋতু পরিবর্তনের পর দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে। ইতালিতেও করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইতালিতে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment