ওয়ারীর শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়
সংবাদ বাংলা: পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বহুতল ভবনের ফাঁকা ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটিকে আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। শনিবার সকালে নিহত শিশুটির ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটিতে ধর্ষণ করা হয় এবং এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ওয়ারীর বনগ্রামে বহুতল একটি ভবনের নয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে শুক্রবার রাতে সাত বছর বয়সী আফরিন সায়মার লাশ পাওয়া যায়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় শিশুটি পরিবারের সঙ্গে থাকত। শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ওই মেয়েটি একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়ত। সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি; খোঁজাখুঁজির পর রাতে পাওয়া যায় লাশ। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নুরুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটি তার মাকে বলেছিল, সে উপরে পাশের ফ্ল্যাটের যাচ্ছে একটু খেলতে। সে প্রতিদিন বিকালে নিচে ও ভবনের উপরের ফ্ল্যাটে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে যেত।
কিন্তু এদিন গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ৯ তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে মুখ বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পরিবার। শিশুটির মুখে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।
এই শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬ জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নুরুল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তিনি বলেন “আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি, এ বিষয়ে একটি মামলাও প্রক্রিয়াধীন।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment