করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু
সংবাদ বাংলা: দ্রুততম সময়ে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাংলাদেশের ১০ জেলায় শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জ, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মেহেরপুর, সিলেট, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালী জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দ্রুত সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের জন্যই এই অ্যাটিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হল। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তির যদি নেগেটিভ ফলাফল আসে, তাহলে তাকে আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।
রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে নয় মাস আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হয়ে আসছে। তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়, খরচও বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিও নেই। সেই কারণেই সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উদ্যোগ। এই পরীক্ষার জন্যও নাক বা মুখ গহ্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কী?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অনুষ্ঠানে বলেন, ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা সরকার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে এবং তার শরীরে করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন সন্দেহজনক রোগীর আরআরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট সম্পন্নের লক্ষ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রশিক্ষিত ডাক্তারের নিকট থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েই পরীক্ষা শুরু করেছেন। তিনি জানান, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় যে রোগীর ফল পজিটিভ আসবে, সে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে, আর যার নেগেটিভ ফল আসবে, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment