করোনায় রেকর্ড ২১২ জনের মৃত্যু
জুলাই ০৯
২২:২৩
২০২১
সংবাদ বাংলা: প্রাণঘাতী করোনায় রেকর্ড ২১২ জন মারা গেছে, যা এক দিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। বৃহস্পতিবার প্রথম বারের মতো করোনায় মৃত্যু সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছিল। গত তিন দিনে করোনায় ৬১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ একদিনে গড়ে দুইশ জনের ওপরে মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট ১৬ হাজার ৪ জনের মৃত্যু হল। তীব্র ছোঁয়াছে ভারতীয় (ডেল্টা) ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভয়ঙ্কর সব রেকর্ড করছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে শুক্রবার নতুন করে ১১ হাজার ৩২৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে গত কয়েকদিন ধরে শনাক্ত ৩০ থেকে ৩১ শতাংশে ওঠানামা করছে। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে দেশব্যাপী কঠোর লগডাউন চলছে। কিন্তু করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেনি। এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান লকডাউনের পরিবর্তে কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর আগে দুই সপ্তাহের শাটডাউনের সুপারিশ করেছিল পরামর্শক কমিটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছেন, দেশে কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষের চলাফেরা বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে দেশের মানুষ কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচিগুলো ভয় পায় এবং প্রতিপালনের চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের কর্মসূচি দিলে করোনা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
গত মাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৮ শতাংশের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এখন যে সংক্রমণ হচ্ছে তা সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ গ্রামের লোকজনের মধ্যে বেশি হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা ৫০ শতাংশের বেশি রোগী গ্রামের। এখন দেশের সব অর্থাৎ ৬৪ জেলা সংক্রমণের অতি উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন খুলনা জেলার বাসিন্দা। এরপরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ঢাকা বিভাগে ৫৩ জনের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি রোগী ঢাকা বিভাগের ৪ হাজার ৩১৩ জন। রাজশাহীতে ১ হাজার ২৪৬ জন, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৮৫৯ জন, খুলনায় ১ হাজার ৬৫৬ জন, রংপুরে ৮৩৩ জন, ময়মনসিংহে ৪২৮ জন, বরিশালে ৫৪৭ জন, সিলেটে ৪৪২ জনের শনাক্ত হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছেন, দেশে কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষের চলাফেরা বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে দেশের মানুষ কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচিগুলো ভয় পায় এবং প্রতিপালনের চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের কর্মসূচি দিলে করোনা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সহায়ক হবে।
গত মাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৮ শতাংশের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এখন যে সংক্রমণ হচ্ছে তা সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ গ্রামের লোকজনের মধ্যে বেশি হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা ৫০ শতাংশের বেশি রোগী গ্রামের। এখন দেশের সব অর্থাৎ ৬৪ জেলা সংক্রমণের অতি উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন খুলনা জেলার বাসিন্দা। এরপরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ঢাকা বিভাগে ৫৩ জনের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি রোগী ঢাকা বিভাগের ৪ হাজার ৩১৩ জন। রাজশাহীতে ১ হাজার ২৪৬ জন, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৮৫৯ জন, খুলনায় ১ হাজার ৬৫৬ জন, রংপুরে ৮৩৩ জন, ময়মনসিংহে ৪২৮ জন, বরিশালে ৫৪৭ জন, সিলেটে ৪৪২ জনের শনাক্ত হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment