কোন দিকে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিদিনই মরছে
সংবাদ বাংলা: রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এ মাসের শুরুতে ১ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৯২ জন। অথচ গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জনে। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি মিনিটেই একজন করে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের প্রায় সব জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উপসচিব নুরুল আমিন নাহিদের স্ত্রী ফারজানাসহ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছে তিনজন ডেঙ্গু রোগী। ঢাকার বাইরে আরও ৬ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।
রাজধানীর পর দেশের ৬১টি জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সরকারি হিসাবে, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৫ জন। বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৬৯ জন। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৫। সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩৩৫ রোগী ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উপসচিব নুরুল আমিন নাহিদের স্ত্রী ফারজানা (৪২) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। নুরুল আমিন নাহিদ ২০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এ নিয়ে এ বছর ঢামেকে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল। সোমবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউতে মারা যান ফারজানা। রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় থাকতেন তিনি। ঢামেকের সহকারী পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফারজানা আগেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরতদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও আসন্ন ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে যেতে সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তাদের ঢাকাতেই ছুটি কাটাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও গুজব প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়) বলেন, ডেঙ্গু নতুন কিছু নয়। হয়তো প্রাদুর্ভাবটা এখন বেশি। তবে মশা ধ্বংসে ওষুধের কার্যকারিতার বিষয়টা উঠে এসেছে। এজন্য যথাযথ ও মানসম্মত ওষুধ যাতে আসে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় চিকিৎসকস্বল্পতার জন্য যেসব চিকিৎসক ট্রেনিংয়ে আছেন তাদের ট্রেনিং বাদ দিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে কর্মস্থল ও আবাসন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন। এজন্য স্কাউটদের সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটিতে শিক্ষার্থীদের টিম গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও গুজব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের কাজ করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত ১৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫১ জন। ওই বছর ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০১ সালে আক্রান্ত ২ হাজার ৪৩০, মৃত্যু ৪৪ জন; ২০০২ সালে আক্রান্ত ৬ হাজার ২৩২, মৃত্যু ৫৮ জন; ২০০৩ সালে আক্রান্ত ৪৮৬ জন, মৃত্যু ১০জন; ২০০৪ সালে আক্রান্ত ৩ হাজার ৪৩৪, মৃত্যু ১৩ জন; ২০১৮ সালে আক্রান্ত ১০ হাজার ১৪৮, মৃত্যু ২৬ জনের।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণ ও উপসর্গ পাল্টে আরও মারাত্মক হয়েছে। কারও জ্বর হলে দ্রæত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, ডেঙ্গু ধরা পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, এমনকি রোগ সারার পরও সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু এখন নগরবাসীর অন্যতম আলোচনার বিষয়। অনেক পরিবারে একাধিক সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। রাস্তাঘাট, বাস, হোটেল, মার্কেট, স্কুল-কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা শোনা যায়। নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশন মশা নিধনে বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। মশার অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার নিয়েও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সব রোগী সরকারি নজরদারির মধ্যে নেই।
ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট গ্রহণের সংখ্যা ২-৫ গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। রোগীর স্বজনরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে ঘুরছে রক্তের সন্ধানে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এবার বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও ব্লাড ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ধরনভেদে একজন ডেঙ্গু রোগীর জন্য ১ থেকে ৪ জন বা তারও বেশি রক্তদাতার থেকে প্লাটিলেট সংগ্রহ করতে হয়। এবার প্লাটিলেটের পাশাপাশি রেডসেল ও অন্যান্য উপাদানেরও প্রয়োজন পড়ছে। যে কারণে রক্তদাতাদের চাহিদাও বেড়েছে। রক্তের মূল্য বাদে অন্যান্য খরচ ১২ হাজার থেকে ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং শান্তিনগরে কোয়ান্টামে প্লাটিলেটের জন্য প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। ব্লাড ব্যাংকগুলো গত বছর ডেঙ্গু রোগীদের জন্য যে হারে প্লাটিলেট সরবরাহ করেছে এবার তা অন্তত ৫ গুণ বেশি। রক্তের জন্য বøাড ব্যাংকগুলো নির্ভরশীল রক্তদাতাদের ওপর। চাপ বেশি থাকায় তাই খোলা রাখা হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা। প্লাজমা আর অন্যান্য উপাদান আগেভাগে সংগ্রহ করে রাখা যায়। তবে প্লাটিলেট সরাসরি দাতার কাছ থেকে নিয়েই রোগীদের দেওয়া হয়ে থাকে।
দেশে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু প্রথম দেখা দেয় ২০০০ সালে। ওই বছর এই রোগে মারা যায় ৯৩ জন। তিন বছর পর থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার কমতে থাকে এবং কয়েক বছর এতে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নেমে আসে। তবে গত বছর আবার ব্যাপকভাবে দেখা দেয় ডেঙ্গু। সরকারি হিসাবে ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টি মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। বাড়ির ভেতরে ও বিভিন্ন উৎসে এডিস মশা জন্মায়। এ ছাড়া বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনের জলাধার, লিফটের নিচে জমে থাকা পানি, ফুলের টব, টায়ার-টিউবসহ যেসব জায়গায় পানি জমে, সেগুলোই এডিস মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। পরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদফতর, দফতর, সংস্থা এবং বিভাগীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস ও নিজ নিজ বাসস্থানে সবধরনের সতর্কতা অবলম্বনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ অফিসগৃহ, আঙিনা ও আশপাশ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; নিজ নিজ বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠোনগুলোয় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাখা ফুলের টব, বাসস্থানের ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সব পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে হবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে। খেলার মাঠ ও ভবনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে; মাঠ কিংবা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেরতে হবে; প্রতি সপ্তাহে একটি দিন নির্ধারণ করে এ কার্যক্রম নিয়মিত করতে হবে। এ কার্যক্রমের বিষয়ে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে প্রথমবার এবং এর পরবর্তী প্রতি মাসের ১ তারিখে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। দেশের আরও কয়েকটি জেলায় সর্বশেষ ডেঙ্গু পরিস্থিতি জানিয়েছেন আমাদের ব্যুরোপ্রধান, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা
বান্দরবান : ডেঙ্গুর জ¦রে আক্রান্ত দুজনকে মঙ্গলবার সকালে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের এককজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বিজয়ন তঞ্চঙ্গ্যা ও নটর ডেম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র রেমিউচিং মারমা।
মৌলভীবাজার : মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও ছয়জন বেড়ে এর সংখ্যা হয়েছে ১৫ জন। এর মধ্যে প্রায় সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জ : জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় রিপিট কিট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে পরীক্ষা না করেই ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
কুড়িগ্রাম : আক্রান্ত আটজনের পাঁচজন কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বাকি তিনজনের অবস্থার অবনতি ঘটায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
নড়াইল : সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী শনাক্তকরণের রি-এজেন্ট প্রদান করেছে সামাজিক যোগাযোগ গ্রুপ ‘হৃদয়ে নড়াইল’। মঙ্গলবার দুপুরে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫টি রি-এজেন্ট হস্তান্তর করা হয়।
সীতাকুন্ড : সীতাকুন্ড উপজেলায় দুজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। দুজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল : শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়টি সময়ের আলোকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
ঝিনাইদহ : ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়।
লক্ষ্মীপুর : ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে লক্ষীপুর। সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ছয়জন জেলার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নয়জন ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আরও তিনজন ভর্তি হয়।
ময়মনসিংহ : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রাজশাহী : মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন নয়জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এদের কেউই রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment