গরমে সুস্থ থাকুন
সংবাদ বাংলা: চৈত্রের খর তাপের ফাঁকে হঠাৎ বৃষ্টি— গরমে ঘেমেনেয়ে একাকার, আবার বৃষ্টির সময় শীতল হাওয়া। রাতে হালকা শীতও পড়ে। গায়ে চাদর জড়ালে লাগে গরম।এরকম মিশ্র আবহাওয়ায় সাবধান না হলে শরীর খারাপ করতে পারে। এই সময় পানিবাহিত রোগ যেমন— ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, বমি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে ওরাল স্যালাইন, পানি ও পানিজাতীয় খাবার, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করতে হবে। এতে শরীরে পানি ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে কারণে জ্বর-কাশি ছাড়াও বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ যেমন- ডায়রিয়া, টাইফয়েড, বমি হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, বমি বমিভাব হওয়া, অল্পতেই ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা হওয়াও খুবই স্বাভাবিক। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
গরমের সময় রাস্তাঘাটে পাওয়া যায় নানান রকম শরবত। সস্তা হওয়াতে গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অনেকেই এসব শরবত পান করেন। গ্রীষ্মে বিভিন্ন ধরনের ফলের শরবত স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে রাস্তার পাশের দোকান বা ফুটপাথের পাশে শরবত বানানোর জন্য তেমন স্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না।
গরমের মধ্যে লেবু ও বিভিন্ন ফলের শরবত খুবই উপকারী। তবে সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি, পরিষ্কার ফল ও চিনি ব্যবহার করে শরবত তৈরি করা হলে তা অত্যন্ত উপকারী। রাস্তার পাশে ফুটপাথে বিক্রি করা শরবত তৈরির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর পানি ব্যবহার করা হয় না।
বাইরের ভাজাপোড়া বা তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন ডা. হাসান। জ্বর বা কাশি তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে জ্বর যদি সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘদিন জ্বর থাকা, পেটে চাকা বাঁধা, বমি হওয়া ইত্যাদি টাইফয়েডের লক্ষণ। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment