গৃহকর্মীকে ধর্ষণ-হত্যা: রংপুরে এএসআই ও স্ত্রীর যাবজ্জীবন
সংবাদ বাংলা: পনের বছর আগে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক এএসআই ও তার স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে রংপুরের একটি আদালত। রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাবিদ হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার রফিক হাছনাইন জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, তালুক রঘু গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মনজিলা খাতুন এএসআই আলতাফের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। ২০০৩ সালের ২৪ মে রাতে মনজিলাকে বাড়িতে ঘুমানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যান ছলেহা। এরপর মনজিলাকে আলতাফের ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে মনজিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। ছালেহা খাতুন ছালেহা খাতুন এ ঘটনায় মনজিলার মা রাবেয়া খাতুন ২৬ মে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এজাহারে আলতাফ ও তার স্ত্রী ছালেহাকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তারের পর এএসআই আলতাফকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ প্রশাসন। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন তারা। যুক্তিতর্কের দিন বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর আলতাফ ও ছালেহার বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। দণ্ডিতরা হলেন রংপুর নগরীরর তালুক রঘু গ্রামের আলতাফ আলী ও তার স্ত্রী ছালেহা খাতুন। রায় ঘোষণার সময় তারা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment