‘জিরো’-তে শাহরুখে নিরাশ
সংবাদ বাংলা: ‘জিরো’তে শাহরুখ খান কি হিরো হয়ে উঠতে পারলেন? নাকি তাঁর ভাগ্যে আরও একবার শূন্যই জুটল। বহু প্রতিক্ষীত ‘জিরো’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নেটদুনিয়ায় এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল। উত্তর মিলল প্রথম শোয়ের পর। অভিনয়ে নিজেকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন শাহরুখ ওরফে বাউয়া সিং। আরও একবার কিং খানের রোম্যান্টিক অবতার বাহবা কুড়োচ্ছে তাঁর ফ্যানদের। কিন্তু কেমন হল ছবিটা? নাহ, বাউয়া সিং মন কাড়লেও চূড়ান্ত নিরাশ করল ‘জিরো’।
‘রইস’ ও ‘জব হ্যারি মেট সেজল’। বলিউড বাদশার এই দুই ছবি ঘিরে অনেক প্রত্যাশা ছিল সিনেপ্রেমীদের। বলিউডে যুব প্রজন্মের ভিড় শাহরুখের রোম্যান্টিসিজমকে ফিকে করতে পারবে না। কিংবা অ্যাংরি ম্যান হিসেবেও বক্স অফিসে ঝড় তুলবেন তিনি। এমনটা আশা নিয়েই হলমুখী হয়েছিলেন দর্শকরা। কিন্তু বেরিয়েছিলেন একরাশ হতাশা নিয়েই। এবার তাই নিজেকে অন্যভাবে মেলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন কিং খান। বামনের ভূমিকায় এই প্রথম দেখা মিলল তাঁর। কিন্তু ছবির চিত্রনাট্যই তাঁর সমস্ত পরিশ্রমে জল ঢেলে দিল। টুইস্টের আতিসজ্জেই গল্পের খেই হারিয়ে গেল।
পরিচালক আনন্দ এল রাইয়ের ‘জিরো’র গল্প খানিকটা এরকম। ৩৮ বছরের বাউয়া সিং মীরাটে থাকে তার পরিবারের সঙ্গে। একদিন এক ম্যারেজ ব্যুরোতে আফিয়ার (অনুষ্কা শর্মা) কথা জানতে পারে সে। তখনই ঠিক করে ফেলে আফিয়ার সঙ্গেই প্রেম করবে। প্রতিবন্ধী আফিয়া বাউয়ার প্রেম প্রস্তাবে প্রথমে রাজি না হলেও পরে তাকে ভালবেসে ফেলে। কিন্তু তারপরই আফিয়াকে ধোকা দেয় বাউয়া। মাস কয়েক পর আচমকা একদিন বাউয়া দেখে, আফিয়া তার বাড়িতে এসে হাজির। বাউয়ার বাবা ঠিক করে, এই মেয়ের সঙ্গেই নিজের ছেলের দিয়ে দেবে। বাবার অনুরোধে আফিয়ার সঙ্গে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায় বাউয়া। এরই মধ্যে একটি নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাউয়া। যে প্রতিযোগিতার বিজয়ী সুপারস্টার ববিতার (ক্যাটরিনা কাইফ) সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবে। অভিনেত্রী ববিতার বড় ফ্যান বাউয়া বিয়ের দিন আফিয়াকে ফের ধোকা দেয়। এরপরের ঘটনা নাহয় হলে গিয়েই দেখবেন। তবে এরপরই গল্পে টুইস্ট আনতে গিয়ে বাস্তব থেকেই অনেকখানি সরে গিয়েছেন পরিচালক। তাই শেষমেশ এ ছবি আর মনে দাগ কাটতে পারল না। মীরাট থেকে মঙ্গল যাত্রাই শাহরুখের জীবনের যেন অমঙ্গল ডেকে আনল।
ভারত-সহ গোটা বিশ্বে ৫৯৬৫টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘জিরো’। ফলে মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও প্রথম তিনটে দিন যে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে নেবে এ ছবি, তা বলাই যায়। ছবির ভাল দিক বলতে গেলে উল্লেখ করতে হয় এর ভিজুয়াল এফেক্টের কথা। বিশ্বমানের ভিএফএক্স দুর্বল চিত্রনাট্যের মধ্যেও ছবির মানরক্ষা করেছে। শাহরুখের পাশাপাশি অভিনয়ে নজর কেড়েছেন অনুষ্কা শর্মাও। এদিকে প্রয়াণের পর আরও একবার বড়পর্দায় শ্রীদেবীর উপস্থিতি চোখে জল এনেছে দর্শকদের।
কথায় বলে, কোনও সিনেমা সুপারহিট হওয়ার আসল মশলা হল তার কাহিনি। শাহরুখের ‘জিরো’ সেখানেই নম্বর পেল না। তবে কিং খানের ফ্যান হলে এ ছবি দেখতে একবার হলে যেতেই পারেন। কিন্তু মনে করে যুক্তি-তর্ক ও মস্তিষ্ক বাড়িতেই রেখে যাবেন।
Rais daksi valo lagsy. Jab hari met sezal dakhi nai. & zero sharuk khan k bamon carectar a dakte mon chi na.