জেলে রাত কাটানো সালমানকে ‘ডাল-রুটি’ দেওয়া হয়
সংবাদ বাংলা: বিরল হরিণ মেরে কারাগারে যাওয়া বলিউড তারকা সালমান খান গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন কাটিয়েছেন যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে। বন্দী হিসেবে তাঁর নম্বর ১০৬। সেখানে ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে রাতের খাবারে ডাল-রুটি দেওয়া হয়। তবে তিনি তা খাননি। জেলের খাবার না খেলেও বাইরে থেকে কোনো খাবার আনাননি সালমান। সূত্র: এনডিটিভি
এই তারকাকে বন্দী করার বিষয়ে কারা তত্ত্বাবধায়ক বিক্রম সিং সাংবাদিকদের জানান, সালমান সাধারণ বন্দীর সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কারাগারে। তাঁকে বিশেষভাবে দেখভাল করা হচ্ছে না। গতকাল রাতে সালমানের একজন দেহরক্ষী তাঁর জন্য পোশাক নিয়ে এসেছিলেন।
সালমান খানের সঙ্গে ওই একই কারাগারে রয়েছেন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আধ্যাত্মিক নেতা আসারাম বাপু। এর আগে গতকাল বিকেলে কারা তত্ত্বাবধায়ক জানান, সালমান খানকে রাতে সাধারণ বন্দীর মতো ডাল-চাপাতি এবং সকালে খিচুড়ি দেওয়া হবে। তাঁর জন্য জেল কুঠুরিতে সাধারণ কাঠের বিছানা, কম্বল ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকছে।
কারা তত্ত্বাবধায়ক জানান, এই অভিনেতার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। গতকাল বিকেলে যখন তাঁকে কারাগারে আনা হয়, তখন তাঁর রক্তচাপ বেশি ছিল। কারাগারের চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেছেন। পরে তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে।
সালমান খানকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এর পাশের কুঠুরিতে বন্দী হিসেবে রয়েছেন নিজেকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী দাবি করা আসারাম বাপু। তাঁর আশ্রমে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৩ সাল থেকে তিনি সেখানে বন্দী।
আরেক কারাগারে বন্দী লরেন্স বিষ্ণোই নামে একজন সন্ত্রাসীর সালমানকে হুমকি দেওয়ার ঘটনার বিষয়ে কারা তত্ত্বাবধায়ক বলেন, হুমকির বিষয়টি বিবেচনা করে সালমানকে আরও কয়েক বন্দীর সঙ্গে রাখা হতে পারে, যাতে তিনি একা না থাকেন। আদালতের রায়ের পর থেকে সালমান খানের দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা যোধপুরেই আছেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁর দুই ভাই আরবাজ, সোহেল খানসহ পরিবারের আরও সদস্য আজ যোধপুরে আসবেন।
‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের জন্য প্রায় ২০ বছর আগে রাজস্থানের যোধপুর শহরে গিয়েছিলেন সালমান খান। ১৯৯৮ সালের ২ অক্টোবর চাঁদনি রাতে সহ-অভিনেতা সাইফ আলী খান, টাবু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রেকে নিয়ে কঙ্কনি গ্রামে শিকারে বের হন সালমান। তাঁর ছোড়া গুলিতে বিলুপ্তপ্রায় দুটি কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে যোধপুর আদালতের বিচারপতি দেব কুমার খাতরি সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সাজা ও ১০ হাজার রুপি জরিমানার রায় দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে বাকিরা খালাস পেয়ে যান। রায়ের পর ওই দিন বিকেলেই সালমানকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার জেলা আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করা হবে। তবে জামিন না হওয়া পর্যন্ত সালমানকে যোধপুর জেলেই থাকতে হবে।
সালমান অবশ্য হরিণ হত্যার দায় অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এটি ছিল সালমানের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী হত্যার তৃতীয় মামলা। আগের দুটি মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হলেও রাজস্থান হাইকোর্ট থেকে তিনি খালাস পেয়েছিলেন।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment