ডেঙ্গু: ক্যাম্পাস বন্ধ চান আতঙ্কিত জবির শিক্ষার্থীরা
সংবাদ বাংলা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে গেছে। আবাসন সুবিধা না থাকায় ক্যাম্পাসের আশেপাশে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেস ভাড়া করে থাকা আতঙ্কিত জবির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস বন্ধের দাবি জানিয়েছে। পুরান ঢাকায় অত্যাধিক এডিস মশার বংশবিস্তারের কারনে এখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। যার ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই এ ভাইরসে আক্রান্ত হচ্ছে।
এজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অভিভাবকরা ঈদের ছুটির আগেই সন্তানদের গ্রামের বাড়ি চলে আসতে বলে। সম্প্রতি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ডেঙ্গুজ্বরে মারা যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পরেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডেঙ্গু আক্রান্তদের তালিকা নিয়ে ক্যাম্পাস ছুটির ঘোষনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে খোজঁ জানা যায়, আইন বিভাগের বারো জন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আটজন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাতজন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ছয়জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজন, ফার্মেসি বিভাগের চারজন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চারজন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিনজন, ইতিহাস বিভাগের তিনজন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তিনজন, গণিত বিভাগের তিনজন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দুজন, সমাজকর্ম বিভাগের একজন, মার্কেটিং বিভাগের দুজন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের দুজন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুজন, নাট্যকলা বিভাগের দুজন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুজন, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের দুজন, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের একজন, অর্থনীতি বিভাগের দুজন, লোকপ্রশাসন বিভাগের দুজন, ইংরেজি বিভাগের একজন, সংগীত বিভাগের একজন, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের একজন, রসায়ন বিভাগের একজন, বাংলা বিভাগের একজন, অনুজীব বিজ্ঞানের একজন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের একজন, দর্শন বিভাগের একজন ও সিএসই বিভাগের একজনসহ শতাধিক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা নেই বলে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েই ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, মেডিনোভা, পপুলার হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মিতা শবনম বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে এখানে প্রচুর জ্বরের রোগী আসছে। দৈনিক ৬০ জন রোগী আসলে ৪০ জনই আসে প্রচন্ড জ্বর নিয়ে। তাদের ডেঙ্গুর লক্ষন দেখলে তা বাহিরে পরীক্ষানিরীক্ষা করা পরামর্শ দেই, যেহেতু আমাদের মেডিকেলে ডেঙ্গু পরীক্ষার যন্ত্রপাতি নেই।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment