ডেঙ্গু প্রাণ কেড়ে নিলো বাপেক্স প্রকৌশলীসহ আরো ৫ জনের
সংবাদ বাংলা: সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৩৫১ জন; যাদের মধ্যে ৭ হাজার ৮৬৯ জন এখনও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সরকার চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হলেও বেসরকারি হিসাবে এই মৃত্যুর সংখ্যা ১২১ জন। ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার দুই হাসপাতালে এক শিশু ও এক প্রকৌশলী, পাবনায় এক ছাত্র, লক্ষ্মপুরে এক শিশু এবং খুলনায় একজন মারা গেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মঙ্গলবার সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান বাপেক্সের ম্যানেজার (প্রকৌশলী-খনন) মাহবুবুল্লাহ হক। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। বিএসএমএমইউর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত মজুমদার জানান, বাপেক্সের এই কর্মকর্তা সোমবার ঈদের দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানেই সকাল ১০টায় তিনি মারা যান। সামিয়া নামের আট বছরের এক শিশু মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছয়টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, তালতলা থেকে সামিয়া গত ১০ আগস্ট এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। ভোরে সে মারা যায়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মুছাব্বির হোসেন মাহফুজ (১৮) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুতে জেলায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা এটি। সদর উপজেলার চক রামানন্দপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি এবার এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মাহফুজ সদর উপজেলার চক রামানন্দপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মাহফুজ এবার এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় আশিকুর রহমান পরশ নামের চার বছরের এক শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আশিকুর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া এলাকার কামরুজ্জামান পাটোয়ারির ছেলে। শিশুটির চাচা মনিরুজ্জামান পাটোয়ারি বলেন, ১০ আগস্ট জ্বরে আক্রান্ত হয় আশিকুর। লক্ষ্মীপুরের একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে পরীক্ষা করানো হলে তার ডেঙ্গু হয়েছে বলে শনাক্ত হয়। ওই অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়িতে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment