ধর্ষক-খুনি বাবুল গ্রেপ্তার: অপহরণের কথা স্বীকার, ধর্ষণ ও খুন অস্বীকার
সংবাদ বাংলা: বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর একটি দলহবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায় তার ফুফুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর একটি দল। বিউটি হত্যাকাণ্ডের পরপরই সে হবিগঞ্জ থেকে পালিয়ে সিলেটে এসে আশ্রয় নেয় বলে জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিউটিকে অপহরণের কথা স্বীকার করছে বাবুল। তবে ধর্ষণ ও হত্যার কথা অস্বীকার করছে এবং একের সময় একেক কথা বলছে।
গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় ১৮ মার্চ বিউটি আক্তারের বাবা বাবুল মিয়া ও তাঁর মা নারী ইউপি সদস্য কলম চান বিবিসহ ছয়জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় কলম চান গ্রেপ্তার হলেও মূল আসামি বাবুল পলাতক ছিলেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে।
এদিকে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে কমিটিকে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment