নগ্ন হয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা
সংবাদ বাংলা: বিবিসি শেফিল্ডের দি ন্যাকেড পডকাস্ট অনুষ্ঠানের আলোচনা শুরুর ঠিক আগে আগে কাপড়চোপড় খুলে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে যান দুই উপস্থাপিকা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী থেকে তাদের নারী অতিথিরা আসেন। আলোচনার সময় তাদের শরীরেও কোন কাপড় থাকেনা। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক জেনি এলস আর কেট হ্যারবোর্ন হাসতে হাসতে বললেন, এটা ছিল বিব্রতকর, অস্বত্বিকর, কিন্তু আমরা সবাই ছিলাম একই রকম।
কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা?
জেনি বলছেন, আমরা দেখতে চেয়েছি, নগ্ন অবস্থায় মানুষ কি সত্যিই সব কিছু খুলে বলে? মানুষ কি আরো খোলামেলাভাবে আলোচনা করে? যে নারীদের সঙ্গে আমরা এই অনুষ্ঠানে কথা বলেছি, তারা আসলে তাই করেছেন। নগ্ন হয়ে উপস্থাপনা বা অতিথি হয়ে আসা সহজ কাজ নয়। তবে কেউ সামনে নগ্ন হয়ে বসলে অনেকটাই হালকা হয়ে যাওয়া আর বিশ্বাস তৈরির ঘটনা ঘটে বলে তারা জানান।
মানুষের শরীরের নানা চিত্র আর নগ্নতা নিয়েই তাদের ওই অনুষ্ঠান। এই দুই উপস্থাপিকা বিবিসি শেফিল্ডে সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন। এই সিরিজে ১০টি এপিসোড রয়েছে এবং বিবিসি শেফিল্ড বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে। যদিও নগ্নতার বিষয়ে আলোচনা হলেও সেটি প্রচার হয় পডকাস্টে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শোনা যায়। ফলে তাদের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ আসলে কারো চোখে পড়বে না। কিন্তু খোলামেলা আর আন্তরিক আলোচনার পরিবেশ তৈরির জন্যই তাদের এই উদ্যোগ। তাদের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন মডেল, মূত্র জটিলতায় ভোগা একজন নারী যাকে সবসময় মূত্র থলি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়, আর একজন মুসলিম নারী যিনি বিয়ের পরই প্রথম কোন নগ্ন দেহ দেখেছেন, যা ছিল তার স্বামীর। তাদের সঙ্গে গল্পে জীবনের বিচিত্র দিক, যৌন নির্যাতন, ব্যক্তিগত নানা বিষয় উঠে এসেছে।
কেট বলছেন,আমাদের দুজনেরই বয়স ত্রিশের কোঠায়। মেয়েরা অনেক সময় ব্যয় করে তাদের শরীর নিয়ে, কিভাবে আরো চিকন বা ফিট হবে, চুলের স্টাইল কি হবে, চামড়া রোদে পুড়বে কিনা ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, কি বিশাল সময় আমরা নষ্ট করেছি। কিন্তু সাধারণ নারীদের এর চেয়েও আরো অনেক বেশি সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।
কেট বলছেন, প্রথমে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর সময় আমরা ভেবেছিলাম যে, একজন শক্তিশালী, বুদ্ধিমতী, মজার ধরণের একজন নারীর সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরুর করতে যাচ্ছি। কিন্তু নগ্ন হয়ে আলাপচারিতা শুরুর পর দেখা গেলো, তারা নিজের শরীর নিয়ে কতটা বিব্রতকর, নেতিবাচক কথাই না ভেবেছেন। জেনি বলছেন, প্রায় একবছর আগে আমরা এই কাজটি শুরু করি। এখন আমি আমার নিজের শরীর নিয়ে শতভাগ স্বস্তি বোধ করি।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment