নুরুল ইসলাম নাহিদের ‘এক দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী অর্জন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
সংবাদ বাংলা: প্রাবন্ধিক, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি’র ‘এক দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী অর্জন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকাল ৪টায় অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শহীদ সালাম চত্ত্বরে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে লেখক নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, নায়েম, মাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক সুধী ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা লেখককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে এক দশকে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে, এ গ্রন্থ তার দলিল। গ্রন্থটি সাধারণ পাঠক, স্কুল-কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও, শিক্ষানুরাগী ও বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষকদের জন্য একান্ত জরুরি বলে বিবেচিত হবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ বলেন, বইটি শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা সবার মতামত নিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে বিশ্বমানের শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এখানে গবেষণার উপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গুণগত মানের শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় কিভাবে এগিয়ে গিয়েছি সেটি বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। দশ বছরে কোথায় এগিয়ে গেলাম সেটি এখানে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
১৯২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে ৬টি অধ্যায় ও ১১টি পরিশিষ্ট রয়েছে। এর মূল্য ৪০০ টাকা। গ্রন্থটি চারুলিপি প্রকাশন ৪৯৭-৫০০ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে। গত দশ বছর ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে যে সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত আছে, তার কিছু বিবরণ অতিসংক্ষিপ্ত আকারে এই গ্রন্থে তুলে ধরার প্রয়াস করেছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এই বইটি কোনো ধারাবাহিক একক রচনানয়। ভিন্ন ভিন্ন রচনারসংকলন। বিগত দশ বছর ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দরিদ্র, পশ্চাৎপদ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তরেরলক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্ম-প্রচেষ্টাচলছে, তারমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিক্ষা।
নতুন প্রজন্মকে গতানুগতিক প্রচলিত শিক্ষার পরিবর্তে আধুনিক যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যে শিক্ষা বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য নয় বা যা সমাজ চাহিদা ও জাতির উন্নয়ন ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তা অর্থহীন।
সফল শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৯ বছর পূর্বে সর্বসম্মতিক্রমে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা, ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষেত্রে সমতা অর্জন ও তা ধরে রাখা, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস করা, নারী শিক্ষার প্রসার, প্রতি বছর যথা সময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি, তাদের ক্লাশ শুরু, বছরের নির্দিষ্ট তারিখে পরীক্ষা গ্রহণ, প্রতি বছর যথা সময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি, তাদের ক্লাস শুরু, বছরের নির্দিষ্ট তারিখে পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা শেষে ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ, আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আধুনিক শিক্ষার সাথে এর সমন্বয়, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও জ্ঞান সৃষ্টির ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এ জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে সকল শিক্ষার্থীকে বই বিতরণ, প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপ-বৃত্তিসহ কোনো-না-কোনো আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, সর্বোপরি গুণ ও মানসম্পন্ন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক তৈরিতে সরকার বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment