প্রতিদিনের ডায়েটে ‘তরমুজ’
সংবাদ বাংলা: গ্রীষ্ম কাল আসছে। গরম মানেই আম, জাম, লিচুর সময়। তবে গরম কালের সবচেয়ে আরামদায়ক ফল যে শশা আর তরমুজ তা যে কেউ এক বাক্যে স্বীকার করবেন। তাই গরমে যদি আপনার রোগা হওয়ার তাড়া থাকে চোখ বুজে মেনে চলতে পারেন তরমুজ ডায়েট। রোগা যেমন হতে পারবেন, তেমনই শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করবে তরমুজ ডায়েট। যারা চটজলদি ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য আদর্শ তরমুজ ডায়েট।যারা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে চান তারাও এই ডায়েট মেনে চলতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে কতটা পরিমাণ তরমুজ খাচ্ছেন।
জার্নাল অব আফ্রিকান ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্লান্ত শরীরে এই ডায়েট খুব ভাল কাজ দেয়। যদিও এই ডায়েট মেনে চলাকালীন শরীরচর্চা করা উচিত নয়। তরমুজের মধ্যে থাকে এল-কোরালিন। যা শরীরে এল-আর্জিনিনে রূপান্তরিত হয়। এই এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশী প্রসারণে সাহায্য করে। ফলে ব্যথা, বেদনা কমাতেও সাহায্য করে এই ডায়েট।
প্রেগন্যান্ট মহিলারা এই ডায়েট এড়িয়ে চলুন। যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও বাচ্চাদের এই ডায়েট এড়িয়ে চলা উচিত।
তবে রাতে তরমুজ খাওয়া বারণ: গরমের এই সময় তরমুজ খেতে যেমন ভালো লাগে; তেমনই হার্ট ও কিডনি সুস্থ এবং শরীর ঠাণ্ডা রেখে হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমায় লাল-সবুজ এ ফল। তবে তরমুজ বেশি খেলে বা ভুল সময় খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে বলে অনেকেই রাতে তরমুজ খান। কিন্তু জেনে রাখুন রাতে তরমুজ খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ-
১। তরমুজ সহজে হজম হয় না বা হজমে সাহায্য করে না। তাই রাতে তরমুজ খেলে ইরিটেবল বা ওয়েল সিনড্রোম হতে পারে বা পর দিন সকালে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। রাতে যেহেতু আমাদের পরিপাকক্রিয়া ধীর গতিতে হয়, তাই মিষ্টি ও অ্যাসিডিক খাবার না খাওয়াই ভালো।
২। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল সুগার থাকে। ফলে রাতে তরমুজ খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে রাতে বারবার প্রস্রাবের বেগ পেতে পারে। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে পর দিন ক্লান্ত লাগতে পারে।
৪। আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রেও রাতে কোনো ফল বা তরমুজ খেতে বারণ করা হয়েছে। রাতে ফল খেলে ডায়েরিয়া, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানান, সকাল বা বিকেলের দিকেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভালো। অনেকেই তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খান। গরমে খেতে ভালো লাগলেও ফ্রিজে রাখা তরমুজ থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment