বিএসটিআই খাবারের মেয়াদ ঠিক করে আন্দাজে
সংবাদ বাংলা: ভেজালে সয়লাব। সরকারি পর্যায়ে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা নেই, গবেষণা নেই৷ মান নিয়ন্ত্রণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এখানে অনুসরণ করা হয় না৷ তারা পণ্য ব্যবহারের মেয়াদ ঠিক করে অনুমানের মাধ্যমে কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নয়৷
দেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এসব কথা বলছে আর তা একরকম মেনেও নিয়েছে বাংলাদেশে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণের একমাত্র বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের(বিএসটিআই) আর খাদ্য গবেষণার একমাত্র সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ(বিসিএসআইআর) জানিয়েছে, তারা শুধু গবেষণা করে তবে সেক্ষেত্রেও তারা বিএসটিআই নির্ধারিত মানই অনুসরণ করে৷
খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে বিএসটিআই এর অনুমোদন নেয়৷ আর সেই মান বজায় থাকে কিনা তা মনিটরিং করার দায়িত্বও তাদের৷ তবে বাংলাদেশে সব মিলিয়ে ১৮১টি পণ্যের বিএসটিআই এর অনুমোদন লাগে৷ এর মধ্যে কৃষি ও খাদ্যপণ্য ৭৬টি৷
বিএসটিআই এর পরিচালক (মান) সাজ্জাদুল বারী বলেন, আমরা পণ্যের মান ঠিক করি বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে৷ তারা বাইরের৷ মান ঠিক করতে আমাদের ছয়টি বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং তাদের অধীনে ৭৩টি সাবকমিটি আছে৷ কমিটি যে মান নির্ধারণ করেন তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেন বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক৷
এন্টিবায়োটিক প্রসঙ্গে বারী বলেন, এখন দুধে এন্টিবায়োটিক নিয়ে যে কথা হচ্ছে তা আমাদের মানের অন্তর্ভুক্ত নয়৷ আমরা নয়টি বিষয় দেখি৷ বিশ্বের অনেক দেশ আছে যারা ৫০ টি বিষয় দেখে৷ আবার ভারত দেখে ছয়টি৷ আমাদের বিশেষজ্ঞরা যদি আমাদের বলতেন আমরাও এন্টিবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত করতে পারতাম৷ আমরা খাদ্য বা পণ্য নিয়ে গবেষণার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নই৷ তাই গবেষণা আমরা করি না৷
বিসিএসআইআর খাদ্যের মান নিয়ে গবেষণা ছাড়াও নানা ধরনের নতুন খাদ্যপণ্য আবিষ্কারের কাজও করে৷ নির্ধারিত ফি দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান থেকে যে কেউ তাদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের মান যাচাই করিয়ে নিতে পারে৷ সাধারণভাবে মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তারা বিএসটিআই এর স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে৷ তবে তার বাইরেও আর কোনো উপাদান আছে কিনা তারা তারা জানায়৷
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment