মাত্র ৭ হাজার টাকার জন্য দুই বান্ধবীকে খুন করেছেন ভণ্ড ফকির
সংবাদ বাংলা: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর দুই নারী মাত্র সাত হাজার টাকার জন্য খুন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। টাকার জন্য নার্গিস আক্তার (৪২) ও তাঁর বান্ধবী ময়না বেগমকে (৫০) খুন করেন এক ভণ্ড ফকির। ১৩ এপ্রিল নার্গিস আক্তার ও ময়না বেগমের লাশ পাঁচদিন পর উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ১৪ এপ্রিল নিহত নার্গিস আক্তারের ছেলে তানভীর আহম্মেদ বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নার্গিসের মোবাইলের শেষ কলটি ছিল ইজিবাইকচালক লোকমানের। লোকমানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তাঁর মোবাইল থেকে নার্গিস আক্তারকে মোকলেছ নামের এক ব্যক্তি ফোন দিয়েছিলেন। সেই সূত্রে ভণ্ড ফকির মোকলেছকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মোকলেছ বলেন, স্বামীকে বস (বাধ্য) করতে নার্গিস আক্তার চরদরি কান্দার কাউছার ফকিরের শরণাপন্ন হোন। একপর্যায়ে কাউছার অপারগতা প্রকাশ করে একই গ্রামে তাঁর (মোকলেছ ফকির) কাছে যেতে বলেন। হত্যাকাণ্ডের এক মাস আগে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে মোকলেছের প্রথম দেখা হয়। মোকলেছ এ কাজের জন্য নার্গিসের কাছে সাত হাজার টাকা দাবি করেন। তখন নার্গিস তাঁকে সাত হাজার টাকা দেন। তবে কাজ না হওয়ায় নার্গিস মোকলেছের কাছে টাকা ফেরত চান। এতে মোকলেছ টাকা ফেরত দিতে অপারগতা জানান। একপর্যায়ে নার্গিস বিষয়টি থানা-পুলিশ ও তাঁর এক রাজনৈতিক নেতা খালাতো ভাইকে জানাবেন বলে মোকলেছকে হুমকি দেন। এরপর ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোকলেছ টাকা ফেরত দেবেন বলে লোকমান নামে ওই ইজিবাইকচালকের মোবাইল থেকে নার্গিসকে ফোন করে আওনার চকে আসতে বলেন। টাকা নিতে নার্গিস আক্তার তাঁর বান্ধবী ময়নাকে নিয়ে আওনার চকে একটি পুকুরপাড়ে আসেন। এ সময় মোকলেছ হাতুড়ি দিয়ে নার্গিসের মাথায় একাধিক আঘাত করে নার্গিসকে হত্যা করেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় নার্গিসের সঙ্গে থাকা ময়নাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন মোকলেছ।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment