যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ বাংলা: বেলা ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তরপত্রের অতি মূল্যায়ন বা অবমূল্যান রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নে প্রধান পরীক্ষকদের উত্তরমালা প্রনয়ণের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রণীত নমুনা উত্তরমালার আলোকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরীক্ষকদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য একটি প্রশ্নমালা সকল প্রধান পরীক্ষদের সরবরাহ করা হয়েছে। এসব পরিবর্তনে ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে নেওয়া নানা পদক্ষেপ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোন বিতর্ক সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরিশোধন, মুদ্রণ, প্যাকেটজাতকরণ, ট্রাংকজাতকরণ, কেন্দ্রে প্রেরণসহ প্রতিটি স্তরেই কঠোর নজরদারী, সতর্কতা ও বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করা হয়। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসনগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন পুলিশসহ র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, বোর্ড, জেলা ও মাঠ প্রশাসনের ভিজিল্যান্স টিমের কঠোর নজরদারি অন্যতম ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রতিও সরকার বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০৩০ সালে কারিগরিতে শিক্ষার্থীর হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুল ও মাদরাসায় ২টি ট্রেড কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি ও দুর্ভোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিষয়ে চেষ্টা চলছে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের পরীক্ষা নিজেরাই নিতে চায়। একই সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডেকেলে ভর্তি নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ইতিবাচক। উপাচার্য পরিষদ এটি নিয়ে আলোচনা করছে। আগামী বছর থেকে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া যেন সহজ হয়, সেটি দেখতে হবে। এ কারণে কোনও কোনও শিক্ষার্থী সাত-আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেন, ফলে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। অন্য জেলায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ছেলে মসজিদে ঘুমান। নারীরা তো আরো সমস্যায় পড়েন। অনেকে আর্থিক সমস্যায় থাকেন। যাদের টাকা থাকে না তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন না?
বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সঙ্কট হবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সিট খালি থাকে। মেডিকেলেও অনেক সিট এখন খালি থাকে। অনেকে হয়ত পছন্দের জায়গায় স্থান পান না। কিন্তু সিট পান না এমন কেউ নেই। কারণ এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment