শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসির ক্ষমতায়ন জরুরি
সংবাদ বাংলা: দেশে উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ক্ষমতায়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, নিজস্ব প্রয়োগিক ক্ষমতার অভাবে কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারছেনা কমিশন। নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে ইউজিসিকে পুর্নগঠন করে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ গঠন করা। বুধবার জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমানে দেশে ৪৯টি পাবলিক ও ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেখানে শিক্ষার মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সচিব মো. খালেদ, ইরাব সভাপতি মুসতাক আহমেদ (যুগান্তর), সহ-সভাপতি এম মামুন হোসেন (সময়ের আলো), সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক (ইত্তেফাক), কোষাধ্যক্ষ শরীফুল আলম (কালের কণ্ঠ), সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জসিম (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), সাব্বির নেওয়াজ (সমকাল), আমানুর রহমান (নয়া দিগন্ত), এমএইচ রবিন (আমাদের সময়) সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বক্তারা জানান, নিজস্ব ক্ষমতার সীমাবদ্ধতায় কমিশন অনেকটা অসহায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইনে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি তদারকি করে ইউজিসি। পৃথক আইনে পরিচালিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ শিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়ন, নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বপরি দুর্নীতি বন্ধের জন্য গঠিত হলেও অভিভাবক হিসেবে ইউজিসি নিজস্ব প্রয়োগিক ক্ষমতার অভাবে কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। এজন্য পুর্নগঠন করে ‘উচ্চ শিক্ষা কমিশন’ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান করার প্রক্রিয়া চলছে। এটা যেই নামেই হোক তবে কমিশনের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত।
কারণ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ইউজিসি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেই গুরু দায়িত্ব শেষ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। কমিশনের এসব সুপারিশ নিয়ে সভা-সম্মেলন করে বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় মন্ত্রণালয়ে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ১৯৯৮ সালের সংশোধনী মোতাবেক ১ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন পূর্ণকালীন সদস্য এবং ৯ জন খণ্ডকালীন সদস্যের সমন্বয়ে গঠন করা হয় কমিশন।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment