সব কোচিং বেআইনি: শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ বাংলা: বাংলাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার ‘বেআইনি’ বলে জানালেও এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করতে পেরে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্ত্রী বলেন, ‘ইচ্ছা করলেই সবকিছু বন্ধ করা যায় না। আমরা হয়তো কোচিং বন্ধ করতে পারি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটা বন্ধ করে থাকে। তাই যেকোনো কারণে হোক আইনগতভাবে কোচিং গ্রহণযোগ্য নয়। উচ্চ আদালত কোচিং গাইড, নোট বই বেআইনি ঘোষণা করেছেন বলে জানান মন্ত্রী। কোচিং গাইড, নোট বই—এসব বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে আগামী ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এবারের এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই সমাপনী পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে; যা গতবারের চেয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন বেশি। ‘আগের অভিজ্ঞতা’ কাজে লাগিয়ে এবার ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ায় এইচএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস হবে না বলেই আশা করছেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসিতে প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার দিন সকালে ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে এইচএসসিতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে লটারির মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া এসএসসির মত এইচএসসিতেও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষার হলে বসতে হবে। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞাও আগের মতই বহাল থাকছে। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ৫২টি মামলায় ১৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে যেসব শিক্ষক রয়েছেন, তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান মন্ত্রী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment