সাকিবগাঁথা
সংবাদ বাংলা: সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন মাশরাফিরা। কিন্তু আশা পূরণ না হওয়ায় শনিবার দেশে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে টাইগার সমর্থকদের জন্য এবারের বিশ্বকাপ ছিল সাকিবময়। সাকিব কী কী করেছেন, বলার চেয়ে বোধ হয় বলা ভালো, তিনি আর কী কী করতে পারতেন। আট ম্যাচে ৬০৬ রান করা ছাড়াও নিয়েছেন ১১ উইকেট।
এক নজরে সাকিবের কীর্তি:
আট ম্যাচে ৬০৬ রান করার পথে দুটি শতক আর পাঁচ অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন সাকিব৷ ইংল্যান্ড (১২১) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের (অপরাজিত ১২৪) বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এক বিশ্বকাপে ৬০০-র বেশি রান করা তৃতীয় ব্যাটসম্যান তিনি৷ এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকার ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান ও ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন ১১ ম্যাচে ৬৫৯ রান করেছিলেন।
টেন্ডুলকারের আরেক রেকর্ড ছুঁয়েছেন সাকিব৷ ২০০৩ বিশ্বকাপে টেন্ডুলকার সাত ইনিংসে ৫০-এর বেশি রান করেছিলেন৷ সাকিব সেই রেকর্ড করেন শচীনের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলে।
এক বিশ্বকাপে ৫০০-র বেশি রান ও ১০-এর বেশি উইকেট পাওয়া প্রথম ক্রিকেটার সাকিব৷
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়া বোলার হন সাকিব।
ভারতের যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই ম্যাচে অর্ধশত ও ৫ উইকেটের মালিক হয়েছেন সাকিব।
ভারতের কপিল দেব ও যুবরাজ সিংয়ের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট পাওয়া খেলোয়াড় সাকিব।
বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান করা শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের তালিকায়ও সাকিব ঢুকে পড়েছেন৷ চার বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলে তিনি মোট ১,১৪৬ রান করেছেন৷ ফলে তালিকায় সাকিবের নাম থাকছে নয় নম্বরে৷ এই তালিকায় শীর্ষে আছেন শচীন৷ তিনি মোট ৪৫ ম্যাচ খেলে ২,২৭৮ রান সংগ্রহ করেছেন।
এক বিশ্বকাপে তিন কিংবা তিনের নীচে ব্যাট করে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন সাকিব৷ আট ম্যাচে তিনি করেছেন ৬০৬ রান৷ আগের রেকর্ডটি ছিল মাহেলা জয়াবর্ধনের৷ তিনি ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ১১ ইনিংস খেলে ৫৪৮ রান করেছিলেন।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment