সাব-রেজিস্ট্রার অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার সুপারিশ
সংবাদ বাংলা: আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার সুপারিশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। জমির মালিকানা পরিবর্তনের দলিল করার ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার ভূমি, সেটেলমেন্ট অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস যুক্ত। এর মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এই তিনটি কার্যালয়কে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার কথা বিভিন্ন সময় বলা হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৈঠকে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নেছার আহমদ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ও আমিনুল ইসলাম অংশ নেন।
বৈঠকের কার্যপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ২০১৫ সালে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে চিঠি দিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, সহকারী কমিশনার ভূমি, সেটেলমেন্ট অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জমির মালিকানা পরিবর্তনের কাজ হয়। এর মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেই। কিন্তু ভূমি ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় ও গতি আনতে তিন শাখার একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রয়োজন।
একসময় আইন ও ভূমি বিষয়ে একটাই মন্ত্রণালয় ছিল। তার অধীনে ছিল ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়। পরে দুটি মন্ত্রণালয় আলাদা হলেও ভূমি নিবন্ধন কার্যালয় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থেকে যায়। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তৎকালীন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। ওই চিঠিতে বলা হয়, একসময়ে আইন ও ভূমি মন্ত্রণালয় একত্রে ছিল। পরে পৃথক হওয়ার সময় ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে যায়। ভূমি ব্যবস্থাপনা কাজে গতি আনতে এই তিনটি শাখাকে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা প্রয়োজন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment