হংকংয়ে পুলিশের ‘যৌন হয়রানির’ প্রতিবাদ
সংবাদ বাংলা: সরকারবিরোধী বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তার অন্তর্বাস উন্মোচিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশ সদস্যরা তাকে জঘন্য ভাষায় অপমান ও ‘বেশ্যা’ অ্যাখ্যায়িত করেছিলেন বলেও অভিযোগ তার। ওই রাতে কী হয়েছিল তা নিয়ে বলতে লজ্জিত নই আমি, কেননা আমি কোনো ভুল করিনি। আমি দুর্বল নই। কারো করুণা প্রয়োজন নেই আমার, বলেছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী। পুলিশি নিপীড়নের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে হংকংয়ের কয়েক হাজার বাসিন্দা। বুধবারের এ সমাবেশকে আয়োজকরা বিশ্বজুড়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলমান ‘মি টু’ আন্দোলনের অংশ হিসেবেই অ্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা সমাবেশে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে বলে দাবি করলেও পুলিশ তা নাকচ করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
পুলিশের হিসাবে এদিনের সমাবেশে সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। হংকংয়ের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগও অস্বীকার করে বলেছে, তারা আটক ব্যক্তিদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিক্ষোভে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগও করেননি কেউ, বলছে তারা। বুধবারের সমাবেশে বেশ ক’জন নারী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে তাদের ওপর পুলিশি হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা জানান। এদের একজন তার শরীর তল্লাশির অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
অভিযোগকারীর ভাষ্যের সঙ্গে ভিডিও ফুটেজের মিল নেই জানিয়ে এর আগে মঙ্গলবার পুলিশের কর্মকর্তারা ওই নারীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখা আরেক নারী জানান, সরকারবিরোধী বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তার অন্তর্বাস উন্মোচিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশ সদস্যরা তাকে জঘন্য ভাষায় অপমান ও ‘বেশ্যা’ অ্যাখ্যায়িত করেছিলেন বলেও অভিযোগ তার। ওই রাতে কী হয়েছিল তা নিয়ে বলতে লজ্জিত নই আমি, কেননা আমি কোনো ভুল করিনি। আমি দুর্বল নই। কারো করুণা প্রয়োজন নেই আমার, বলেছেন তিনি।
হংকংয়ে টানা তিন মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ ভয়াবহ নিপীড়ন চালাচ্ছে অভিযোগ করে আন্দোলনকারীরা এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে আসছে।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment