১৯ শিক্ষকের খোলা চিঠি
সংবাদ বাংলা: চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং সরকারী গেজেট প্রকাশের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন ১৯ শিক্ষক। চিঠিতে শিক্ষকেরা লিখেছেন, এই আন্দোলনের বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত সরকারি গেজেট প্রকাশ। কিন্তু তার আগেই আন্দোলনকারীদের ওপর নানা চাপ আসছে। ভয়ভীতি কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি সবচেয়ে বেশি।
এতে আরো বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে চাপা উৎকণ্ঠা। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট ঘিরে আইসিটি আইনে মামলা, ছাত্রনেতাদের ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার ইত্যাদির মাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তারা এই পরিবেশ দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এছাড়া চিঠিতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। আবাসিক হলগুলো পরিচালনার বিষয়টি ছাত্রসংগঠনের কাছ থেকে শিক্ষক ও হলের প্রশাসনের আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এছাড়া ৮ এপ্রিলের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও পরে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণে বহিরাগতের অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।
আজ বুধবার বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জন শিক্ষক উপাচার্যের দপ্তরে এসে লিখিত চিঠি হস্তান্তর করেন। চিঠিতে বলা হয়, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তিন শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চিঠিতে সাক্ষর করা শিক্ষকেরা হলেন- এম এম আকাশ, গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, রোবায়েত ফেরদৌস, সায়মা আহমেদ, মুনাসির কামাল, সামিনা লুৎফা, মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা, রুশাদ ফরিদী, মো. সেলিম হোসেন, হুমায়ুন কবীর, আবদুর রাজ্জাক খান, সালমা চৌধুরী, দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, কাজী মারুফুল ইসলাম, অতনু রাব্বানি এবং সাজ্জাদ এইচ সিদ্দিকী।
There are no comments at the moment, do you want to add one?
Write a comment